দত্যাগ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ সব নির্বাচন কমিশনার। আাজ দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশিদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিসুর রহমানও পদত্যাগ করবেন বলে জানানো হয়।

এ সময় সিইসি স্বীকার করে নেন ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনটি নানা কারণে বিতর্কিত হয়েছিলো এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনটি হয়েছিলো একদলীয়।

তিনি জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার স্বার্থে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থা, কয়েক ধাপে জাতীয় নির্বাচন করা, নির্বাচনে প্রযুক্তির ব্যবহার ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রস্তাবনা দেন।

সংবাদ সম্মেলন শেষে সব কমিশনার তাঁদের পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে সেগুলো নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে জমা দেন। এখন কমিশনের সচিবের মাধ্যমে পদত্যাগপত্রগুলো রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য যাবে বঙ্গবভনে।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.), মো. আহসান হাবিব খান ও মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। তবে বেগম রাশিদা সুলতানা ও মো. আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না। এ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কাজী হাবিবুল আউয়াল কোনো জবাব দেননি।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।  ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি দ্বাদশ সংসদ ভেঙে দেন। নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভেঙে দেয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় নির্বাচন কমিশনাররা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের জন্য কার্যভার গ্রহণ করে।